বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

আজিজনগরের পাহাড়ী ঢ়ল


আমার কবিতার কালরাত
আজিজনগরের পাহাড়ী ঢ়ল
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ

পাহাড়ী ঢ়লের পানি ধ্বংস করে ঘরবাড়ী,গবাদিপশু,হাস-মুরগী।
পানির স্রোতে ভেসে গেছে হরিণমারা,তেলুনিয়াপাড়া,স্বন্দীপপাড়া
গজালিয়া,বউতলাপাড়া,হরিণের মত শিকার গোটা ছয় মানব মানবী
শত বছরের গোলজাহার বেগম,আজিজনগরের জাহাঙ্গীর।
তেলুনিয়াপাড়ার লোহাগড়া আবার বাবার কুলখানিতে বাড়ায় মড়া,
চুনতি লাশ হয়ে ফেরে স্বামীর বাড়ী।
আজিজনগরের প্রবল বর্ষনে লামায় পাহাড় ধ্বসে,
মুষলধারের বৃষ্টিতে পাহাড়ী ঢ়ালের ঝুপড়িঘর তুপড়ি খেয়ে পড়ে।
শোকের ছায়া আর স্বজনহারানোর আহাজারী,
বিষন্ন বাতাস লাশের গন্ধে ভারী।
দমবাজ নির্বিচারে পাহাড় কাটে,পাথর তোলে,উজার করে বন,
ফাঁসিয়াখালী,রুপসীপাড়া আর সরই পানিতে নিমজ্জিত,নিরীহ মানুষ পানিবন্দী।



আমার কবিতার কালরাত ২

রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

যৌতুকের বলিদান

মানব জমিন
মোহাম্মদ সোহরাব আজিজ

যৌতুকের বলিদান

নুরীঃ
রঙ্গীন টেলিভিশন,ফ্রীজ,সোনাদানার জন্য আমার বোন
ডাক্তার তামান্না দজ্জাল কসাই শ্বাশুরীর হাতে জীবন দিলো।
এই অর্থলোভী দানবীদের হাতে আর কত রীমা,তামান্না এবং
নুরীদের তাজা প্রান হারাতে হবে?
আমাদের এই সমাজ নুরীদের খেলার পুতুল বানায়
মাটির মানুষ কাঁন্দায়,
এসিড আর লালসার শিকার বাংলার নারী
ক্রুদ্ধ দেবতার ভয়ঙ্কর গর্জন শুনিতে পারি।

আশিকঃ
হায়রে কপাল ডাক্তার তামান্নার,
যার কোলে দুই বছরের শিশু তার
কেড়ে নিলো জান কাপুরুষ স্বামী
নরাধম পিশাচ।
আমার বোনের লাশ কাঁধে আমার আজিকার শপথ
মুছে ফেলি যাবতীয় আগাছা আর যতোসব কুপথ,
হায়েনারা বাস করে আমার ঘরে,
আমার বোনের আত্মা ক্রুদ্ধ স্বরে ক্রন্দন করে
অবিরাম ক্রন্দন করে।

পীরঃ
জানোয়ারের থাবায় আজ বোবা
আমার মা বোন আর বাবা
রহম করো পরওয়ারদেগার
আজাবের আগুনে পুড়িয়ে দাও শয়তানের কালা জোব্বা।